এবার বাটে পেয়ে মুশফিকুর রহিমকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিলো মুস্তাফিজ। হ্যাঁ, এমনটাই ঘেটেছে গত ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে। যা একদম পুরোপুরিভাবে মিডিয়ার কাছে গোপন রাখা হয়েছে।
তখন কেবলই প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠতে শুরু করেছিলো নবাগত ক্রিকেটার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম। এরমাঝেই খেলার মাঠে একটি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই দুই প্লেয়ার। খেলা চলাকালীন সময়ে মুশফিকের মুতায় ধরলে সে আম্পায়ারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে মাঠের শেষ মাথায় বাথরুমের দিকে দৌড় দেয়। এ ব্যাপারটি ধরা পড়ে মুস্তাফিজুর রহমানের চোখে। মুস্তাফিজ ভেবে নেয়, হেরে যাবার ভয়ে লজ্জায় মাঠ ছেড়ে দৌড়ে পালাচ্ছে মুশফিক। তাই মুস্তাফিজও মুশফিকের পেছন পেছন দৌড়ে গিয়ে তাকে পাকড়াও করে। এবং পাশ্ববর্তী এক ফিল্ডস্টাফের হাত থেকে একটি ব্যাট নিয়ে মুশফিককে পেটানো শুরু করে।
মারামারির একপর্যায়ে মুশফিকের একটি হাত, হাতের কাইন্না আঙ্গুল ও বাম পায়ের হাটু ভেঙ্গে যায়। ঘটনাস্থলেই মুতে দেয় মুশফিক।
পরে অবশ্য আসল ব্যাপারটি জানতে পেরে মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্ষমা চায় মুস্তাফিজ। দলের সম্মান রক্ষার্থে পুরো ব্যাপারটিই সফলভাবে ধামাচাপা দেয়া হয় মিডিয়ার কাছ থেকে। তবে প্রথম আলুর একটি বিশেষ তদন্তে পুরো ঘটনাটিই এবার এই প্রথমবারের মত বেরিয়ে এসেছে।
এব্যাপারে ফোনে মুশফিকের মতামত জানতে চাওয়া হলে প্রথম আলু সংবাদকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "একজন নবাগত ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজ তার দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করেছে। আমি আসলে ইচ্ছে করেই মুতার ভান ধরে দৌড় দিয়েছি মুস্তাফিজকে পরীক্ষা করার জন্য। আমি শুধু দেখতে চেয়েছি সে আমার পেছন পেছন দৌড়ে এসে আমাকে মারে কিনা। মুস্তাফিজ পরীক্ষায় পাশ করেছে"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন